বান্দরবানের ৩ স্কুলে বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারণ

বান্দরবানের ৩ স্কুলে বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারণ

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সহায়তায় শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে সদরের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের মাধ্যমে বইপড়া কার্যক্রম সম্প্রসারণ করলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এ ৩টি প্রতিষ্ঠান হলো, বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সহায়তায় শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে সদরের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের মাধ্যমে বইপড়া কার্যক্রম সম্প্রসারণ করলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এ ৩টি প্রতিষ্ঠান হলো, বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সাঙ্গু উচ্চ বিদ্যালয়।

বান্দরবানের ৩ স্কুলে বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারণ

বই বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ লিমিটেডের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, দু’বারের এভারেস্ট বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী এম এ মুহিত, বান্দরবান জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সোমা রানী বড়ুয়া ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ তৈয়ব হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দেশের দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিকাশ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই বইপড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে। বিকাশ এ পর্যন্ত এ বছরের ৪০ হাজারসহ দুই লাখের বেশি বই দিয়েছে এই কার্যক্রমে। সারাদেশের ৪০০টি স্কুলে এ বছরের বইগুলো বিতরণ করা হবে।

বই বিতরণ অনুষ্ঠানে দু’বারের এভারেস্ট বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি এম এ মুহিত বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের আত্মার উন্নয়ন হয়। জ্ঞানের পরিধি এবং কল্পনা শক্তি বাড়ে। তাই জ্ঞান সমৃদ্ধ আলোকিত সমাজ গঠনে বই পড়ার অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বই প্রদানের জন্য বিকাশকে ধন্যবাদ দেন। 

বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকাশ বিশ্বাস করে বই-পড়ুয়াদের আলোয় সমাজ আলোকিত হয়। যারা বই পড়েন, তারা আগামীতে দেশের উন্নয়নে যথার্থ পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্য খুঁজে পান। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই মহৎ প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত থাকতে পেরে বিকাশ আনন্দিত এবং গর্বিত।

দেশে আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গত ৪০ বছর ধরে সারাদেশে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়ালের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল বা ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।