বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পার করলেও হয়নি ছাত্রলীগের কমিটি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ১১১তম সাংগঠনিক ইউনিট হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে এখনও ছাত্রলীগের পুর্ণঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে এবার কমিটির মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি অচিরেই গঠন করা হবে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান গতকাল বুধবার রাতে মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি অচিরেই গঠন করা হবে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাস্তবায়ন হয়েছে। মুজিব আদর্শের চেতনার একটি অভেদ্য ঘাটি গড়ে তোলার জন্য অচিরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার জন্য সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ইউনিট একটি নবীনতম ইউনিট। এই শাখাটিকে সাংগঠনিক গতিশীলতা ত্বরান্বিত এবং জোরদার করার জন্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর। ইতোপূর্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিলো। কিন্তু নানামুখী জটিলতা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আঞ্চলিক নানান ইস্যুর কারণে সেটি গঠন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। তবে শিগগিরই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
এর আগে মুঠোফোনে কথা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ইউনিটগুলোর কমিটি দেয়া হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি কবে নাগাদ গঠন করা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, শিগগিরই আমরা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেবো।
এ নিয়ে কয়েকজন ববির শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী অপরটি সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী। তবে এসব অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে বিচ্ছিন্নতা। আবার অনেকে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিভিন্ন অপকর্মে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অনেকে মাদক ব্যবসায়ও জড়িত। কমিটি না থাকায় যারা অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া যায় না। অনেকে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করেন। অধিকাংশ ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হওয়ায় এসব অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনা। যদিও ছাত্রলীগের দুইগ্রুপকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা গেছে। তবে অনেকে বলছে মনে মনে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেত্বস্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কিছু যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি তিন দফা দাবি প্রশাসনের কাছে করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে ও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তারা।