অস্ত্রের মুখে অপহৃত মাদরাসা অধ্যক্ষকে এমপি মনসুর রহমানের রাজশাহী শহরের বাসভবন থেকে উদ্ধারের ছয়দিন পরও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ।
এমন কী তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করলেও অপহরণকারীদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান পুঠিয়া থেকে দেশের বাড়ি পাবনায় গিয়ে অবস্থান করছেন। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে মাদরাসার অনেক শিক্ষকই প্রতিষ্ঠানে আসছেন না।
পুঠিয়ার বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী দারুস সুন্নাহ মাদরাসা অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, ১৬ অক্টোবর সকালে সন্ত্রাসীরা তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মনসুর রহমানের রাজশাহী নগরীর কাজিহাটার বাসায় নিয়ে যায়। এমপির সুপারিশ করা ব্যক্তিকে মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি না করায় ১৪ অক্টোবর রাতে ফোনে অধ্যক্ষকে তুলে আনার হুমকি দিয়েছিলেন এমপি মনসুর।
আরো পড়ুন : এমপির পছন্দের লোককে সভাপতি না করায় অধ্যক্ষকে কিল ঘুষি
অধ্যক্ষ হাবিবুর পুঠিয়া থানায় দেওয়া এজাহারে দাবি করেছেন, বিড়ালদহ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মাইনুল ইসলাম মাহিন, আনছার আলীর ছেলে তুষার, কান্দ্রা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ডাবলু, পলাশবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রহমান, মাইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ দফাদারের ছেলে হুমায়ুন ওরফে হুমা, খুঁটিপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বাবলুর রহমান ও নয়াপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কামাল হোসেন তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে।
মামলা রেকর্ড না হওয়া প্রসঙ্গে পুঠিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ অপহরণ ঘটনার এজাহারে এমপির নাম এসেছে। পুলিশ ঘটনাটি সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে অবশ্যই মামলা রেকর্ড হবে।