শিক্ষকেরা নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হন না। তাই ক্লাস না হওয়ায় ছাত্রীরাও ঘোরাফেরা করছেন শহরের যত্রতত্র। এ যেনো ‘মগের মুল্লুক’।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নিজের দায়িত্ব সিনিয়র শিক্ষকদের এড়িয়ে পার্থ প্রতিম নামে এক শিক্ষককে দেয়ার কারণে অবহেলায় ডুবতে বসেছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। এমন অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমান বিহারী রায়ের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজটিতে একাদশ থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। সাবেক অধ্যক্ষ সালমা বেগম গত মার্চ মাসে বদলি হয়ে গেলে বিমান বিহারী রায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তিনি সিনিয়র শিক্ষকদের এড়িয়ে পার্থ প্রতিম নামক এক শিক্ষকের ওপর দায়িত্ব দিয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকেন। কলেজে উপস্থিত না হয়ে তিনি সিলেটে থাকেন।
এতে ক্লাসগুলো নিয়মিত হয় না। ক্লাস না হওয়ায় ছাত্রীরা শহরে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করেন।
শিক্ষকরাও নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হন না। এর ফলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ছাত্রীদের হোস্টেলে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। ছাত্রীরা বারবার তাদের সমস্যার কথা জানালেও কোনো কথাই শুনছেন না অধ্যক্ষ রায়। এ ছাড়া কলেজটিতে শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম নেই। ফলে পিছিয়ে পড়ছেন ছাত্রীরা।
এসব সমস্যার কথা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানানো হলেও, ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন অধ্যক্ষ। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন বলেও জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবক।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমান বিহারী রায়কে বদলি করে একজন নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমান বিহারী রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিষয়টি সত্য নয়, আমি বিভিন্ন সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গেলে তখন পার্থ প্রতিম দায়িত্ব পালন করেন তবে তা সিনিয়র শিক্ষকদের অনুমতি সাপেক্ষে। আমি তাদের অনুমতি নিয়ে পার্থকে দায়িত্ব দিয়েছি বলেও দাবি করেন তিনি।