রাজশাহীর গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবর রহমান। প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষও তিনি। দুটি অফিসেরই সময় সকাল ৯টা থেকে। তবে তিনি একসঙ্গে দুই অফিসই করেন। দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতনও নেন।
জানা গেছে, মজিবর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। এদিকে, সরকারি কর্মকর্তাদের মতো চেয়ারম্যানদেরও নির্ধারিত সময়ে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সহজে এবং কম সময়ে সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এমন নির্দেশনা দিয়ে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখা থেকে গত ১৫ মে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়।
তবে ওই নির্দেশনার পরও ইউপি চেয়ারমান মজিবর রহমান একই সঙ্গে দুই পদেই কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তাকে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ ছাড়তে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহীর পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী বলেন, একই সঙ্গে কারও ইউপি চেয়ারম্যান পদে বহাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। দুই জায়গা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ারও সুযোগ নেই।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘যদি এটি আইনের বিরুদ্ধে হয় তবে স্থানীয় সরকার আইনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মজিবর রহমান বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ। আমিই চেয়ারম্যান। আমি আগে সকালে কলেজ করি। পরে অফিসে আসি। আমি এটা নিয়ে রিট করেছি। দেখা যাক কী হয়।’