জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসে দুদকের প্রতিনিধি দল। এসময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাজু আহমেদ, প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌমিত্র শেখরের আর্থিক অসঙ্গতি, ভর্তি বাণিজ্যে সম্পৃক্ততা এবং নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। বৈঠক শেষে গুলশান আনোয়ার প্রধান বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে এসেছি। সেইসাথে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা আবারও আসবো।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে উপাচার্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ গ্রামে ও পরিবারের সদস্যের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরবর্তীতে সৌমিত্র শেখরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ায় তার এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে বাড়ি কিংবা সম্পদের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেও (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা ও অনিয়মের তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য গত ২৭ অক্টোবর ১১ সদস্যবিশিষ্ট 'সত্যানুসন্ধান কমিটি' গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৬০ (ষাট) কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।