বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জোবেদা আক্তার নামে এক প্রার্থী। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রার্থী জোবেদা আক্তার কান্না কণ্ঠে বলেন, আমি স্নাতক ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১ম শ্রেণিতে ১ম হয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হই এবং স্নাতকোত্তরেও ১ম শ্রেণিতে ১ম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সম্মান প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাই। গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে আবেদন করি। কিন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর সেই নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আমাকে কোনো চিঠি, এসএমএস কিংবা মোবাইলে কল করা হয়নি। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীদের একাধিক মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আমি মনে করি আমাকে শিক্ষক নিয়োগে বাদ দেওয়ার জন্যই পূর্ব পরিকল্পা অনুযায়ী অবগত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাওয়ার পরও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
বেরোবি সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের ঠিকানায় গত আগস্ট মাসেই পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রার্থীদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস ও কল করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী প্রার্থীর দেওয়া নম্বরেও অন্যান্য প্রার্থীর মতোই একাধিকবার কল করা হয়েছে তিনি রিসিভ করেননি।
বেরোবি আইসিটি সেলের সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. মেরাজ আলী বলেন, আমাদের সফটওয়ার থেকে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থীদের নম্বরে এসএমএস করা হয়েছে। আমাদের সবগুলো এসএমএসই ডেলিভারি হয়েছে।
বেরোবি কলা অনুষদের ডিন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সহিত যথাযথ নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।