অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার চারটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই কে নিয়োগ পাচ্ছেন তা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রকাশ পাওয়ায় তোপের মুখে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাসার।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার তাড়াশ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা ক্যাম্পাসে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার আগমুহূর্তে অনিয়ম, বাণিজ্য ও পাতানো নিয়োগ সম্পন্ন হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে দেন ডিজির প্রতিনিধি। অভিযোগ রয়েছে, মাদরাসা সভাপতি ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদের
জানা গেছে, চারটি পদে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ পদে আটজন, উপাধ্যক্ষ পদে পাঁচজন, ল্যাব সহকারী পদে আটজন ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গতকাল মাদরাসায় এ চার পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ডিজির প্রতিনিধি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাসারসহ নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় নিয়োগ প্রার্থীরা ডিজির কাছে অভিযোগ করে জানান, প্রশ্নপত্র তৈরি বোর্ডের সদস্যরা চার পদে নিয়োগ পরীক্ষার্থী চারজনকে রেখেই প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। এ সময় অন্য পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে ফেলেন। পরে বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধিকে অবগত করেন। এমনকি এ চার পদে যাঁরা নিয়োগ পাচ্ছেন, তাঁদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজির প্রতিনিধি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকের এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানোই হয়নি। আমি বলেছি, নিয়োগ কার্যক্রম হবে একদম স্বচ্ছ। টাকার বিনিময়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এসব কারণে তাঁরা আমাকে নিয়োগ বোর্ডে রাখেননি এবং নিয়োগ সম্পর্কে কিছু জানাননি।’
জানতে চাইলে তাড়াশ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা ভারপ্রাপ্ত সুপার সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়োগ-বাণিজ্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘নিয়োগে কোনো বাণিজ্য হয়নি।’
এ ব্যাপারে ডিজির (মহাপরিচালক) প্রতিনিধি মাদরাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাসার বলেন, ‘যেহেতু এখানে নিয়োগের আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত ও টাকাপয়সা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করলে প্রশ্ন থেকে যাবে। তাই নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’