অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য–উপাত্ত ব্যবহারে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’—এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্য এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই বোর্ড এসব বিষয় দেখাশোনা করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা, বিধিবিধান থাকবে। এই বোর্ড এসব তৈরি করবে। সেসব মেনেই সকলকে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করতে হবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া করবে তাদেরও বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে। তথ্যের বিভিন্ন ধরনের শ্রেণি বিভাগ থাকবে। কোনো তথ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা যাবে না। কিছু তথ্য ব্যক্তি অনুমতি দিলেও নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ ছাড়া তা ব্যবহার করা যাবে না।’
মাহবুব হোসেন জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া করতে পারবে। বায়োমেট্রিক উপাত্তের মধ্যে ডিএনএ–এর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বোর্ড প্রধান হিসেবে থাকবেন একজন চেয়ারম্যান। সদস্য থাকবেন চারজন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিধান অমান্য করলে আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে। এটি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বিদেশি কোম্পানি আইন না মানলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসার যে টার্নওভার আছে তার পাঁচ শতাংশ জরিমানা হিসেবে আদায় করা যাবে।’