বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান মাস। ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে সেহরির মাধ্যমে রোজা রাখার নিয়ত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রোজা রাখার পর নিয়ম মেনে করবেন ইফতার। কিন্তু আপনি কি জানেন, ইসলামী বিধি বিধান অনুযায়ী, রোজা রাখার পর অমুসলিমদের নিয়ে ইফতার করা যাবে না কি যাবে না?
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথনির্দেশক। মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্দেশনা হলো–যারা এ মাসটি পাবে তাদের জন্য রোজা পালন করতে হবে। তাই এই মাস সব মুসলমানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
এই মাসে রোজা রেখে ইফতার করার সময় অনেকে প্রতিবেশী অমুসলিম বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাওয়াত দেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই শুরু করেন ইফতার।
এতে রোজা হবে কি হবে না এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকেই। এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে মুসলিমদের পরামর্শ ও উপদেশ দিয়েছেন ধর্ম চিন্তাবিদরা।
ইসলামি বিধি বিধান অনুযায়ী হিন্দু কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ইফতার করা যাবে। কারণ হিসেবে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, রোজা রাখার পর ইফতার শেয়ার করা সওয়াব।
তাছাড়া অন্য ধর্মের মানুষ ইসলাম ধর্মের রেওয়াজ বা অনুষ্ঠানের অংশ নিচ্ছে, কোনো কিছু সাদরে গ্রহণ করছে এতে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়বে ভালোবাসাও।
রোজা, রমজান আর ইফতারের সৌন্দর্য দেখে অমুসলিমরা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আর তাদের সঙ্গে নিয়ে ইফতারি করলে ইসলামের সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখার সুযোগ ঘটবে অমুসলিমদের, এমনটাও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে ড. মানজুরে ইলাহী বলেন, ইফতার মূলত খাবার বিরতির শেষ করার একটি প্রক্রিয়া। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত নয়। যার কারণে অমুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করলে তা দোষের হবে না। রোজারও কোনো ক্ষতি হবে না। তাই পাস্পরিক সম্প্রীতি আর ভালোবাসা বাড়াতে হিন্দু কিংবা অমুসলিম ভাইবোনদের নিয়ে ইফতার করতে পারেন ধর্মপ্রাণ সব মুসলমানরা।