নীলফামারীর ডোমারে এক স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরীর (অফিস সহায়ক) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। হরিণচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সোয়াইবুর ইসলামকে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিন বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেন, পরবর্তীতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম সভাপতি খায়রুল ইসলামসহ ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চুক্তি নবায়ন করেন।
এ বিষয়ে সেই সময়ের সভাপতি খয়রুল ইসলাম বলেন, ওই পদটি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এটি আমি জানতাম না। চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কোনো নোটিশ বা সভা করা হয়নি। সহকারীকে নবায়নে প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আভিযোগ করেছি।
বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আল মামুন বলেন, ২০১৬ থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী নবায়নের ১০ মাস পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে বলেননি।
প্রধান শিক্ষক শাহানারা বেগম বলেন, সভাপতি স্বাক্ষর করেছেন। আবার, অফিস সহায়ক সোয়াইবুর বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন, এটি এখন রাজস্ব খাতে গেছে। নবায়ন করার দরকার নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, আমি কোনো শিক্ষককে পদটি রাজস্ব খাতে গেছে- এমনটি বলিনি। তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।