দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সাত দিনের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় তিন মাসেও তা জমা দেয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলা প্রভাবিত করছেন। এ নিয়ে শঙ্কিত অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করে এসব কথা জানান অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
এ সময় তাহমিনা শবনম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কথা দিয়েছিলেন সাত দিনের মধ্যে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তিন মাস চলছে কিন্তু এখনও তদন্তের কিছুই আমরা দেখতে পাইনি। পাঁচ সদস্যের যে তদন্ত দল আমার বাসা এসেছিল আমি তাদের কাজের মধ্যেও নিস্ক্রিয়তা পাচ্ছি। যদি তা নাই পেতাম তাহলে এতদিনে তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে যেতাম এবং জানতাম সেটা কী অবস্থায় আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অবন্তিকার আত্মহত্যা মামলার আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আইনের যথাযথ ধারায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি। মামলাটি এখন ডিপ ফ্রিজে আছে। আমরা চাই মামলাটি যথাযথ গুরুত্বপূর্ণ সহকারে তদন্ত হোক। এ মামলায় যারা আসামি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলাটিতে প্রভাব বিস্তার করছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ রাতে প্রক্টর দীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করে চিরকুট লিখে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকা। পরে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।