পশ্চিমবঙ্গের আগের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যেসব চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেও শিক্ষক পদে চাকরি পাননি, তারা এবার চাকরি পাবেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এতোদিন দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই এক রায়ে ৩৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে এবার চাকরি বাতিল নয়, বরং চাকরির পরীক্ষায় পাস করেও যারা চাকরি পাননি এমন ৭১ জনকে চাকরি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এ বিচারক।
পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী ছিলেন হাওড়া জেলার ৭১ জন। যোগ্যতা নির্ণয়কারী টেট পরীক্ষায় তারা উর্ত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এদের নিয়োগের কথা জানিয়েছিলো। এর মধ্যেই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে যায়। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সরকার এ ৭১ জনের নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তারা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের টেট পরীক্ষায় বসেছিলো। পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এবারও এদের চাকরি দেয়নি হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অথচ ১ হাজার ২০০ শিক্ষক পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও এরা বঞ্চিত হন। এরপরই কয়েকজন আদালতের দ্বারস্থ হয়।
সেই মামলার রায়ে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই ৭১ জন প্রার্থীর সঙ্গে অন্যায় করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারক আগামী দু মাসের মধ্যে এদের চাকরি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এতোদিনে বঞ্চনার অবসান হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা উল্লসিত।