সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামালের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া শামীম কামাল গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২-এর ১২ (১) চ ধারার বিধান চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করেন। রিট আবেদনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন এবং লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে যোগ্যতা-অযোগ্যতার উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে কর্মরত ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সেখানে উল্লেখ নেই, সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর পার না হলে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আজিম বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১২ (১) চ ধারা অনুযায়ী, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হলে কেউ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের এ বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়, তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
আইনজীবী আজিম বলেন, শামীম কামালের বাড়ি লালমনিরহাটে। তার বাবা লালমনিরহাটের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নেয়ার সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শামীম কামাল গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এ কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি রিট আবেদন করেন।