আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে স্কুলসহ ৬ বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে চরলক্ষীপুর গ্রামটি বিলীন হতে চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লতি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কিছু সন্ত্রাসীকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে চরলক্ষীপুর গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখো গেছে, চারিদিকে মেঘনার অথৈ পানির মাঝখানে অবস্থিত গ্রামটিতে ছিল একটি মসজিদ, আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। মসজিদটি অনেক আগেই মেঘনায় বিলীন হয়ে গেলে সেটি আবার নির্মাণ করা হয় গ্রামের অন্যত্র। গত ১৯ জুন হতে এ যাবৎ ৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে নদীতে পড়ে যায় গ্রামের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১১৮ নম্বর চরলক্ষীপুর নজরুল ইসলাম বাবু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট এবং একটি কক্ষ।
চরলক্ষীপুর গ্রামটি কালাপাহাড়িয়া ইউনয়িনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. মালেক জানান, গ্রামে প্রায় ২শ পরিবারে মধ্যে লোক সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মৎসজীবী এবং কৃষক। তারা অনেকেই দরিদ্র শ্রেণির লোক। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে স্কুলটির একটি কক্ষ ও একটি টয়লেট নদী গর্ভে চলে গেছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া এক বাড়ির মালিক মো. এরশাদ আলী জানান, নদীতে বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাওয়ায় আমাদের এখন গাছতলায় বসবাস করতে হবে। কোথাও বসতি গড়ার জায়গা নেই। একই ভাবে দূঃখ প্রকাশ করেন বাড়ি-ঘর হারা অনেকে। এ পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে ওই গ্রামের হক, রশিদ, রুস্তম আলী, স্বপন, রহমআলী এবং এরশাদ আলীর বাড়ি। তারা এখন বাস্তুহারা।সমাজসেবক, এলাকার বিত্তশালী, রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আড়াইহাজারের সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর এবং স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। গ্রামের এবং স্কুলের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্কুলটি জরুরি ভিক্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রোজিনা রহমানও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।