অসঙ্গতিতে ভরা নতুন কারিকুলাম বাতিল জরুরি - দৈনিকশিক্ষা

অসঙ্গতিতে ভরা নতুন কারিকুলাম বাতিল জরুরি

মাছুম বিল্লাহ |

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগী সরকারের নতুন কারিকুলাম নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। এই কারিকুলাম শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন কিছু দিতে তো পারেইনি, বরং  যেটুকু লেখাপড়া ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। এই কারিকুলাম প্রণয়নে সবচেয়ে বেশী সক্রিয় ছিলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। কেউ তাদের বলেনি যে, কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে। এমনটি নয় যে, দেশে ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী তৈরি হচিছলো না, এমনও নয় যে, বিদেশে উচচশিক্ষা নিতে শিক্ষার্থীরা যেতে পারছিলেন না। শিক্ষা যেভাবে চলছিল তার চেয়ে ভাল মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দরকার ছিলো ভাল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, তাদের ভাল বেতন দেয়া, মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ।  

আরও প্রয়োজন ছিলো স্কুল-কলেজ থেকে অযোগ্য ও ব্যবস্থাপনা কমিটির অপসারণ ও প্রশাসনিক হয়রানি থামানো । কিন্তু তা না করে প্রতিনিয়ত শিক্ষার উন্নয়নের নামে যা করা হয়েছে তাতে শিক্ষার আরো পতন ঘটেছে। এর প্রমাণ যে কেউ যে কোন সময় দেশের বিদ্যালয়গুলো ঘুরে আসলে দেখতে পাবেন।

শুধু জনপ্রিয়তার মোহে অনবরত নতুন নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছে বিদায়ী সরকার।  কোন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলেও তাকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। 

কেউ কেউ বলছেন যে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের পর বোঝা যাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেটি কতোটা সফল। কিন্তু সে পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থার মধ্যে যতো শিক্ষার্থী আছেন তারা মহাক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় কে নেবে?  

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেছেন, এই কারিকুলামের সুফল দেখতে ৫-৭ বছর সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখার কতটা সুযোগ তার হয়েছে জানিনা। কিন্তু আমি দেখেছি এবং দেখে চলেছি। শিক্ষার্থীরা বই দেখে পড়তে পারছেন না। বাংলা বইও না, ইংরেজিও না। ভাষা দিয়েই সব বিষয়ের বই লেখা, ভাষাতেই যদি তারা এত দুর্বল থাকে তাহলে কোথায় দক্ষতা আর কোথায় কম্পিটেন্সি অর্জন? 

নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলা হচ্ছে, সবাই স্বাধীনতা নিয়ে শিখবেন। আনন্দের মাধ্যমে শিখবেন। কিন্তু, যে পাঠ্যবই করা হয়েছে তাতে আনন্দের ছিটেফোটাও নেই। নিজেরা সব চিন্তা করে নিজেরাই কল্পনায় দেখেছি শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখছেন। কিন্তু বাস্তবে কি হচেছ তার ধারে কাছেও যাচিছনা।

মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখার কথা আমিসহ অনেকেই বার বার বলেছি, বারবার লিখেছি যে অন্তত ৫০ শতাংশ লিখিত ও ৫০ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া হোক। কিন্তু এনসিটিবির কর্তাদের উত্তর হচেছ- লিখিত পরীক্ষা মানে নোট-গাইডের ব্যবসা। এতে কী নোট গাইডের ব্যবসা থেমেছে? যখন উদাহরণ দিলাম যে, আন্তর্জাতিক সব পরীক্ষাতেই লিখিত পরীক্ষা আছে, এনসিটিরব কর্তারা উত্তর দিলেন, আন্তর্জাতিক ওগুলো (ও লেভেল, এ লেভেল, আইইএলটিএস) সব বাণিজ্যিক পরীক্ষা। আর আমরা একেবারে আসল পরীক্ষা নেব! 

পরে যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি উঠলো, লিখিত পরীক্ষা থাকতে হবে এবং নতুন মন্ত্রী লিখিত পরীক্ষার ইঙ্গিত দিলেন তখন একলাফে ৬৫ শতাংশ লিখিত ও ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক হওয়ার কথা বলা হলো। তার মানে কি? তাদের আসলে সঠিক কোন প্ল্যান ছিলনা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোন কোন দেশের মডেলকে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং কোন কোন দেশে এই মডেল সফল বাস্তবায়ন হয়েছে সেই উদাহরণ অভিভাবকসহ দেশের শিক্ষিত ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের সামনে সরাসরি উপস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল, সেটি করা হয়নি অর্থাৎ ধাপ্পাবাজি করা হয়েছে। তাদের নিজেদের স্বার্থে এই কারিকুলাম চালু করেছেন, শিক্ষার্থী কিংবা দেশের উপকারের জন্য নয়। এটি বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয়েছে। 

পূর্বের প্রথম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকায় প্রতি পাঠ/অধ্যায়ভিত্তিক চারটি যোগ্যতার (জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ) -এর ওপর নির্দেশক প্রশ্ন ছিলো, যার প্রতিফলন শিক্ষক ডায়েরি-১ ও ২ এ থাকত। কিন্তু বর্তমানের (প্রথম-তৃতীয়) শ্রেণির মূল্যায়নের বিষয়টি এভাবে না রেখে পরিশিষ্ট আকারে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা, পারদর্শিতার সূচক, পারদর্শিতার মাত্র (ভাল-গুড, খুব ভাল-ভেরি গুড, উত্তম- এক্সিলেন্ট) , বিষয়ভিত্তিক পারদর্শিতার ক্ষেত্র ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ে সাজানো হয়েছে। এমন অগোছালো অবস্থা পুরো পাঠ্যসূচি জুড়ে। 

লিখিত পরীক্ষা না থাকায় কারিকুলামটি সমালোচানর মুখে পড়ে সেই প্রথম থেকেই।  কিন্তু সেই সমালোচনার প্রতিবাদে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বরাবরই অদ্ভূতভাবে নীরব। মূল্যায়ন নিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম তালগোল পাকিয়ে আছে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় সবাই এক অষ্পষ্টতা ও ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। এই শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের জন্য আটটি উপকরণ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল, যেমন----কুইজ, প্রতিবেদন, উপস্থাপন, প্রশ্নোত্তর, ব্যবহারিক, স্বমূল্যায়ন, সহপাঠী মূল্যায়ন ও প্রতিবেশী মূল্যায়ন। অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর পর্বের নাম দিয়ে লিখিত পরীক্ষাও ছিল। কিন্তু গত দুই বছরে কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা সাবেক শিক্ষামন্ত্রীকে (দীপু মনি) খুশি রাখতে গিয়ে আটটি অংশের মধ্যেই মাত্র কুইজ, প্রতিবেদন ও উপস্থাপন রেখে বাকি পাঁচটিকেই বাদ দিয়ে দেন। এর ফলে মূল্যায়ন থেকে হাতে-কলমের পরীক্ষা বাদ পড়ে।

আমরা যারা শিক্ষা নিয়ে মাঠে কাজ করি, শিক্ষা বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করি, বারবার বলে আসছি, কারিকুলাম লিখিতভাবে খুবই ভাল, কিন্তু বাস্তবের সাথে এর মিল অনেক কম। এই কারিকুলামকে অর্থবহ করতে হলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা থাকতেই হবে। আমরা যতই বলিনা কর্তারা ততই শক্ত অবস্থানে চলে যাচিছলেন যে, লিখিত পরীক্ষা মানে মুখস্থ, লিখিত পরীক্ষা মানে প্রাইভেট পড়া, লিখিত পরীক্ষা মানে নোট-গাইডের ব্যবসা। কোনটিই কিন্তু থেমে নেই, শুধু থেমে গেছে শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহ, বইপড়া, তাতে অবশ্য কর্মকর্তাদের তেমন কিছু যায় আসেনা। কারণ তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনসব কথা বলেন বা ব্যাখ্যা দেন যে, এদেশে শিক্ষা নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করেন তারা কেউ কিছু বুঝেন না। বুঝেন শুধু এনসিটিবির দু’ চারজন কর্মকর্তা যারা লোকজন ধরে কলেজ থেকে ডেপুটেশনে ঢাকায় থাকার জন্য এনসিটবিতে এসেছেন। 

এই শিক্ষাক্রমে ফরমাল কোন লিখিত পরীক্ষা না থাকায়  শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে না।শিক্ষার্থীরা কোন বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই। অথচ একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাইল্ড বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয়, পরীক্ষা বা পড়াশুনার অত্যাদিক চাপ নয় এক ধরনের তাগিদের মধ্যে থাকতে হয়। তাছাড়া প্রতিযোগিতা যাতে অসুস্থতা সৃষিট না করে সেটিকে কিভাবে পরিমার্জন করে সুস্থ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করার কথা। আমরা ফুটবল খেলা দেখি সেখানে প্রতিযোগিতা আছে, ক্রিকেট দেখি সেখানে প্রতিযোগিতা আছে। এভাবে সব কাজেই প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু নতুন কারিকুলামে আমরা বলছি শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিযোগিতা করবে না। একজন খেলোয়াড় যদি জানে যে, তাকে কোন গোল করতে হবেনা, তাহলে সে কতক্ষণ খেলবে? সেই দশা হয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীদের। বইয়ে বলা হয়েছে তারা আনন্দচিত্তে সারাদিন বইয়ের কাজ করবে। কিন্তু পরীক্ষার চাপ তাদের সইতে হবেনা। একটি বিষয়কে বারবার অনুশীলন করতে হয় বিভিন্নভাবে, লিখে, পড়ে, আলোচনা, উপস্থাপনা, রিপোর্ট রাইর্টি ইত্যাদি করে। কিন্তু এখন যেটি হয়েছে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অনুশীলন করার সময় পাচেছ খুবই কম। একজন শিক্ষককে বিশেষ করে বড় ক্লাসে ডিসিপ্লিস মেনটেইন করতেই সময় চলে যায়, কখন সে শিক্ষার্থীদের দিকে ব্যক্তিগতভাবে খেয়াল রাখবেন। এখানে আর একটি কথা হচেছ। শিক্ষকদের নিজস্ব মূল্যায়ন এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয় শহর থেকে গ্রাম, ছোট শহর থেকে বড় শহর, ভাল প্রতিষ্ঠান থেকে অপেক্ষাকৃত কম মানের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল্যায়ন কখনোই এক হবেনা। আর এটি হবেনা বলেই একটি জাতীয় স্ট্যন্ডার্ড থাকতে হয়। বর্তমান কারিকুলাযে যে বিশাল গ্যাপটি রয়েছে তার বহু প্রমাণের মধ্যে এটি একটি বড় প্রমাণ। 

মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতির শিখন ফলের পরিবর্তে পারদর্শিতার নির্দেশক বা পিআই দিয়ে মুল্যায়ন করা হচেছ। প্রাথমিকে প্রতিটি যোগ্যতার বিপরীতে তিন চারটি শিখনফল আছে। কিন্তু মাধ্যমিকের যোগ্যতার বিপরীতে পিআই এর সংখ্যা অত্যন্ত কম।  প্রাথমিকে যোগ্যতার বিপরীতে শিখন ফলের সংখ্যা দিয়ে সারা বছরের পাঠ সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকে পিআই এর সংখ্যা কম থাকায় সারা বছরের পাঠের সংখ্যার সাথে তার মিল নেই। এই পিআই দিয়ে ধারাবাহিক কিংবা সমাষ্টিক মূল্যায়ন কোনটিই করা সম্ভব নয় , প্রাথমিকে শিখনফলের উপর প্রতিটি পাঠ নির্ধারিত হয়েছে, যা দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হয় এবং ফলাবর্তন বা ফিডব্যাক দেওয়া সম্ভব। পিআই এর সংখ্যা কম থাকায় মাধ্যমিকে সেই সুযোগ নেই।  ধারাবাহিক মূল্যায়নের মূল উদ্দেশ্য হচেছ ফলাবর্তন প্রদান করা অর্থাৎ ফিডব্যাক দেওয়া। আর সামষ্টিক মূল্যায়নের মূল লক্ষ্য হচেছ গ্রেড প্রদান করা। প্রাথমিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য শিখনফল থেকে সহজেই প্রশ্ন তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু মাধ্যমিকের শিখনফল না থাকায় এবং তার উপর ভিত্তি করে পাঠ্যপুস্তক রচিত না হওয়ার কারণে পাঠ্য বই সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য উপযোগী নয়। ফলে পিআই দিয়ে সামষ্টিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। মাধ্যমিকের পিআই এর সংখ্যা কম থাকায় তা দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করাও সম্ভব নয়। কারণ সেখানে ফলাবর্তন পাঠের সঙ্গে সঙ্গে না দিয়ে অধ্যায় শেষে, মাস শেষে প্রদান করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে কোন রেকর্ড কিপিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রাথমিকে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক আর প্রজেক্ট অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সারারাত মোবাইল টিপে অ্যাসাইনমেন্ট করছেন। মোবাইল দেখে দেখে যদি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়, তা নোট বইয়ের চেয়ে কম কিসে? এক অভিভাবক বললেন, সপ্তম শ্রেণিতে ছয় দফার উপর অ্যাসাইনমেন্ট করতে বলা হয়েছে তার সন্তানকে। কীভাবে করবে কোন গাইডলাইন নেই। শিক্ষক নাকি বলে দিয়েছেন গুগল সার্স করে বের করতে। বইয়ে তিনটি প্রশ্ন আছে---কবে ছয় দফা হয়েছে, কে ছয় দফা দিয়েছে, কোথায় দিয়েছে।  বাচচাদের অ্যাসাইনমেন্টের নামে এসব করতে দেয়া হচেছ, তাদের তথ্য জানতে বলছে নিকটবর্তী লোকজনের কাছ থেকে। তারা কাকে জিজ্ঞেস করবে আর কে-ইবা তাদের সঠিক উত্তর দিতে পারবে তার কোন হদিস নেই। বিজ্ঞান ও গণিতে গুরুত্ব তো অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার অনেক কিছু করে যা জনগণকে মানতে বাধ্য করা হয়, জনগণের প্রচুর কষ্ট হয়। কিন্তু ঐসব সরকারগুলো আত্মতৃপ্তিতে ভোগে। যেমন আমাদের দেশের বাজেট। বাজেটের গন্ধ পেলেই সব জিনিসপত্রের দাম আকশাছোঁয়া হয়ে যায়, সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি ভাব আর কর্তারা জনগণকে উপহাস করে বলতে থাকেন এটি স্বস্তির বাজেট। পরিমাণে আগের চেয়ে কমিয়ে জীবনের কষ্টের উপর দিয়ে তারা চালিয়ে যান আর কর্তারা বলতে থাকেন জনগণের মঙ্গলের বাজেট। জনগণের কিছুই করার নেই। কিন্তু কারিকুলামের কি হলো? এটা তো জনগণ চায়নি। এটাও বাজেটের মতো চাপিয়ে দেয়া হলো কেন? যাদের জন্য কারিকুলাম, যারা এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন তাদের কথা না শুনে কেন এই কারিকুলাম চালু করা হলো?

লেখক: মাছুম বিল্লাহ, ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0080580711364746