সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন।
শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আন্দোলন চলাকালে যা চালু, বন্ধ থাকবে, মানতে হবে কী কী নির্দেশনা তা জানান তিনি।
অসহযোগে যা যা চালু থাকবে
হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, জরুরি পরিবহন সেবা (ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন), অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট-সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা ও এ খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবহন সেবা চালু থাকবে।
যা যা বন্ধ থাকবে
১. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৩. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
৪. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, এজন্য সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
৫. সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
৫. ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
মেনে চলবেন যেসব বিষয়
১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
৩. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
৪. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
৫. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই-বোনেরা কাজে যাবেন না।
৬. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
৭. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
৮. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
৯. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১০. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জরুরি লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।