মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সোমবার ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি এ আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের নবীন কর্মকর্তারাই হবেন ৪১ এর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কারিগর। মিলেটারি শাসন ব্যবস্থা যে দেশেই থাকে সেখানে দুর্নীতি নীতিতে পরিণত হয়। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধ থাকে না। কারণ অস্ত্র হাতে ক্ষমতায় আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। তাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে।
৭৪ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের ৮৯জন নবীন বিসিএস কর্মকর্তা এই বুনিয়াদি কোর্সে অংশ নিলেও ৮৫ জন সফলতা অর্জন করেন। কোর্সে কৃতিত্ব অর্জন করা ১৮ জন কর্মকর্তার হাতে সদনপত্র ও মেডেল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মিলিত মেধাতালিকায় শ্রেষ্ঠ্যত্ব অর্জন করে মিজানুর রহমানকে দেয়া হয় রেক্টরস পদকও। পাঠ করানো হয় শপথ বাক্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেকে সবসময় জনগণের সেবক মনে করতেন। তাই তারা আহ্বান ছিলো ব্রিটিশ উপনিবেশিক মানসিকতা দূর করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জনমুখী হতে বলার। তার নীতি আদর্শ নিয়ে এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন বলে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের নবীন কর্মকর্তারা ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নানার সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও।
প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র কাজও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে সঞ্চয়ী এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের যে সম্মান তা ধরে রাখতে হবে।
করোনা ও বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ এসডিজি অর্জন করতে না পারলেও বাংলাদেশ সাফল্য পাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।