আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর নাম ও ছবি। সেখানে এক যুক্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির আ ন ম শামসুল ইসলামের নাম।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নদভীর পাশাপাশি আওয়ামীপন্থি ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের নামও মুছে ফেলা হয়। মুছে ফেলা হয় উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের নামও।
তবে উপ-উপাচার্য মছরুরুল মওলার নাম এখনো রয়েছে ওয়েবসাইটে। যদিও মছরুরুল মওলা নদভীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
জানা গেছে, আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশীদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জামায়াতের প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে ও নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর, সদ্য সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও তাকে উপাচার্য পদে ১২ লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান নদভীর ঘনিষ্ঠ আইআইইউসি ট্রান্সপোর্ট ডিভিশন ও সিকিউরিটি ডিভিশনের পরিচালক ড. মহিউদ্দিন মাহির বিরুদ্ধেও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বন্ধের মধ্যে আইআইইউসি থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার গাছ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গাছ কাটার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজও মুছে ফেলার অভিযোগ রয়েছে মহিউদ্দিন মাহির বিরুদ্ধে।