পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আইএফএম (আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিল) আমাদের গুরু নয়। আইএমএফ আমাদের পরিচালনা করে না। বিশ্ব ব্যাংক, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক, কুয়েত ডেভেলপমেন্ট ফান্ড যেমন ঋণ দেয় তেমনি আইএফএমও আমাদের ঋণ দেয়। তবে তারা তাদের নিজস্ব কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট : শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইএফএম বাংলাদেশকে ঋণ দিতে বাধ্য। কারণ, আমরা এর সদস্য রাষ্ট্র। যারা মনে করছে আইএমএফের কাছ থেকে বাধা আসছে। আইএমএফ আমাদের বাজেট তৈরি করে দেয়, তারা সঠিক নয়। এমন কথা আমাদের জন্য অপমানজনক। আইএফ আমাদের বাজেট দেয়, এমন চিন্তা মাথা থেকে বের করে ফেলতে হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার্বভৌম রাষ্ট, আমরা আইএফএমের কাছ থেকে ঋণ নেই এবং সে ঋণ পরিশোধ করি। তবে কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা একটু চাপের মুখে আছি, যোগ করেন তিনি।
বাজেট প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেট একটা পাবলিক ডকুমেন্ট, এটা সবার জানার অধিকার রয়েছে। কোথা থেকে আয় হয়, কোথায় ব্যয় হয়, তা জানার অধিকার সবার রয়েছে। জীবন বাজেটের মধ্যে নেই, জীবনটা বাজেটের বাইরে।
তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে আরো বেশি বাজেট বাড়ানোর পক্ষে আমি। শিক্ষাতে বিনিয়োগ কখনো নষ্ট হয় না। তবে এ ছাড়াও অনেক খাতে আমাদের বাজেট বরাদ্দ দিতে হয়।
ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এবং এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. আবু ইউসুফ।