আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আইন পরিবর্তন করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়ায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পালাবদলে এ প্রক্রিয়াটি কবে নাগাদ সম্পন্ন করা যাবে তা নিয়ে এখনই কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে শুধু এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবন্ধন কিন্তু বিদ্যমান আইনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাত্রই নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এছাড়া নতুন আইনে পরীক্ষা কোন নিয়মে হবে তাও নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। ফলে জারি করা যাচ্ছে না সার্কুলারও। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন পাসের বিষয়টিও উঠে এসেছে সংশ্লিষ্টদের আলোচনায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তা বলেন, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা কোন নিয়মে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এনটিআরসিএ‘র নতুন আইনের খসড়া তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সংসদ না থাকায় এই আইন পাসের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন পাস হলেও হতে পারে। তাই ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানান, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার কবে নাগাদ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এনটিআরসিএ থেকে এখনো নেয়া হয়নি। তবে আমরা সনদ অর্জনের প্রথা বিলুপ্ত করতে চাচ্ছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো আইন পাস হলে অষ্টাদশ থেকেই সনদ না দিয়ে সরাসরি নিয়োগ সুপারিশ করার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নব নিযুক্ত সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ গত ২০ আগস্ট প্রথমবারের মতো মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় এনটিআরসিএর প্রতিনিধি জানান, আইনের খসড়াটি প্রমিতকরণ হয়েছে এবং ১৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের কার্যক্রম চলমান। গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। ইতোমধ্যে পরীক্ষার খাতাগুলো পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তাতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছিলো, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর ভাইভা শুরু হবে। আর ভাইভা চলাকালেই ১৯তম নিবন্ধনের সার্কুলার জারি করা হবে।
এনটিআরসিএর সূত্রমতে, ইতোমধ্যে দেড় লাখের বেশি নিবন্ধন সনদধারীকে চাকরির সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।