আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল পঁচাত্তর - দৈনিকশিক্ষা

আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল পঁচাত্তর

বিপ্লব বড়ুয়া |

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশ্বপরিমণ্ডলে একটি কালজয়ী ইতিহাস। যে ইতিহাসের পেছনে বহু অর্জন যেমন আছে, তেমনি আছে বেদনার করুণ আর্তনাদ। বাঙালি জীবনের পরতে পরতে ত্যাগ আর শোষণ-বঞ্চনায় নিষ্পেষিত। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং পরে অনেক ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতিকে দাঁড়াতে হয়েছে মাথা উঁচু করে। সেই ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সময়ে তার সুদক্ষ নেতৃত্বগুণে বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে বাংলার বেশ ক’জন নেতার যৌথ নেতৃত্বে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামের রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে ক’জন অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তখন ছিলো তার টগবগে যৌবন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি তৎকালীন সময়ে শিক্ষার্থিদের মধ্যে দেশাত্ববোধ জাগিয়ে তোলার অভিপ্রায়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ছাত্রলীগ নামের সংগঠন। তখন এর নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। এটি প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানজুড়ে রাজনীতিক অঙ্গনে এক অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন বঙ্গবন্ধু। আওয়ামী মুসলিম লীগ যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন তিনি কারা অন্তরীণ ছিলেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক যৌথ সভায় বাঙালির অধিকার আদায়ের কৌশল হিসেবে সংগঠন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যখনি পাকিস্থান শাসকগোষ্ঠী  বুঝতে পারলেন যে এই সংগঠন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করবে, ঠিক তখনি মেধাবী রাজনীতিক শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। শেখ মুজিব ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সেই সময় সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যাদের অপরিসীম ত্যাগ ছিলো তারা হলেন-মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক প্রমুখ। প্রতিষ্ঠালগ্নে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে শামসুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ মুজিবুর রহমান। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠনের সাধারণ সম্মেলনে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি একটানা ১৪ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের এক কাউন্সিল মিটিংয়ে শেখ মুজিব সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সংগঠনের হাল ধরেন। সেই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি লাহোরে পৌঁছান এবং ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি লাহোরে বিরোধী দলগুলো আহুত এক সম্মেলনে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। তখন অনেকে এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক বোমা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই ৬ দফার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে নতুন করে সংগঠনের মহাজাগরণ সৃষ্টি হয়। ৬ দফার মধ্যে দিয়ে স্বাধীকার আন্দোলনের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। ছয় দফার মূল কথাটি ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অর্থাৎ স্বাধীনতা। এটি ছিলো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র তথা অঙ্কুর। শেখ মুজিবের ছয় দফা উত্থাপনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের সেনা শাসক জেনারেল আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষায় মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।    

শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ এই প্রথম সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য আসনে জয়লাভ করে নতুন করে শক্ত ভিত রচনা করেন। এই নির্বাচন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারেনি। ভেতরে ভেতরে বারতে থাকে বিভেদের বেড়াজাল। নির্বাচনের পরে সংগঠনের আরেকটি কাউন্সিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করার লক্ষ্যে সংগঠনের নামে আংশিক পরিবর্তন এনে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।

তখন সংগঠনের পুরো নেতৃত্ব চলে আসে শেখ মুজিবের ওপর। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী কোনোভাবে পেরে উঠতে পারছিলো না। তার ওপর রাখা হয় কঠোর নজরদারি। কিন্তু কিছুতেই বঙ্গবন্ধু হার মানার পাত্র নন। পাকিস্তানের সব চক্রান্ত রুখে দিতে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে গণআন্দোলনের ডাক দেন। ৬৯ এর ২৪ জানুয়ারি ছিলো হরতাল। এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আয়ুব খান সরকারবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র এক গণ-অভ্যুত্থান ওইদিন সান্ধ্যআইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করলে সেই মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে প্রাণ হারান কিশোর মতিউর রহমান মল্লিকসহ চারজন। শেষ পর্যন্ত ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে। এবং একইভাবে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের ৩১৩টি আসনের সংখ্যাগরিরষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সাংবিধানিক অধিকার লাভ করলেও পাকিস্তানি অবাঙালি শাসকরা তার পিছু ছাড়েনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কৌশলের কাছে তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারার কারণে তিনি হয়ে উঠেন তাদের চক্ষুশূল। শেখ মুজিব ছিলেন বিশাল চেতনার মানুষ, তার হৃদয়ভরা আহ্বানে সারা দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে জয়লাভ করে। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পরও পাকিস্তানি শাসকরা তাকে এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে মেনে নিতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধু সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি হিসেবে যেহেতু পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃত্বের সারিতে চলে এসেছিলেন সেটি পশ্চিম পাকিস্তানিরা ভালোভাবে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের আগেই তিনি বাঙালি জাতির অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ১৯৭১-এর ৭ মার্চ সশস্ত্র গণ-আন্দোলনের ডাক দেন। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালির সাহসী বীর সন্তানরা দেশ রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে ত্রিশ লাখ নিরাপরাধ মানুষ শহীদ হন এবং তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেন পাকিস্তানি সেনা শাসক, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে অবশেষে ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় লাভ করেন। 

১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেন। তখন তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। দুই দিন পর ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বঙ্গভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৩ জানুয়ারি দৈনিক বাংলা শিরোনাম করে ‘নয়া সরকার: প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরী: মন্ত্রী সভার শপথ গ্রহণ: শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী’। একই দিন ইত্তেফাক শিরোনাম করে-‘বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ’। প্রতিবেদনে লেখেন- ‘কোটি কোটি মানুষের অন্তরের বাসনাটিকে পূর্ণতার সোনারঙে প্রদীপ্ত করিয়া জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল বুধবার জননী বাংলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর আসনে অভিষিক্ত হইয়াছেন।’

১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট জাতির জনকসহ পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশীয় বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য। সেদিন জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। বাংলাদেশ হয়ে পড়ে নেতৃত্বশূন্য। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মে শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে দেশ পরিচালনার ভার অর্পিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর প্রতিবারই তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন। শেখ হাসিনা এই পর্যন্ত টানা চার বারসহ পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র সর্বোচ্চ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসনকার্য পরিচালনা করে চলেছেন।

৪৭’র দেশ ভাগের পর ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৪’র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ৬৬’র ছয় দফা পেশ, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭০’র জাতীয় নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়, ৭২’র এ সরকার গঠন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত করার পেছনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিলো অবিস্মরণীয়। আওয়ামী লীগ এদেশের মা-মাটির ঠিকানা। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের আস্থার প্রতীক, সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। 

জাতির জনকের স্বপ্ন ছিলো আওয়ামী লীগকে সেবার লক্ষ্য নিয়ে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে। সে চেষ্টায় পিতা ও কন্যা সফল হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তিনি সফল হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে কিন্তু দুর্ভাগ্য দেশ স্বাধীন করে ঘুরে দাঁড়াবার মুহূর্তে নির্মম নিষ্ঠুর খুনিরা বুকে গুলি চালিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তার সুযোগ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৭৫ বছরের যাত্রায় কত দুর্গম পথ যে অতিক্রম করতে হয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা ছাড়া অন্য কারো বোঝার সাধ্য নেই। আজ জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে প্রয়াত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি জনপ্রিয় ও শক্তিশালী। তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির শান্তি শীতল ছায়া। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অসীম ত্যাগের কারণে বাঙালি জাতি পেয়েছে একটি স্বাধীন দেশ ও স্বাধীন পতাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে একটি অসাম্প্রদায়িক, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সে স্বপ্ন তার কন্যার হাত ধরে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে পুরো বিশ্ববাসী আজ বিস্ময়ে বিস্ময়, প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দেশে-বিদেশে সমান জনপ্রিয়। ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে এই প্রত্যাশা।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

শিক্ষার্থীদের রাজাকার শ্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের রাজাকার শ্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত উপহার দিলেই এমপিওভুক্তি! - dainik shiksha উপহার দিলেই এমপিওভুক্তি! কোচিং বাণিজ্যে জড়িত পিএসসির আরো ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী - dainik shiksha কোচিং বাণিজ্যে জড়িত পিএসসির আরো ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাবির জরুরি বৈঠকে প্রভোস্ট কমিটির পাঁচ সিদ্ধান্ত - dainik shiksha ঢাবির জরুরি বৈঠকে প্রভোস্ট কমিটির পাঁচ সিদ্ধান্ত কোটার পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ - dainik shiksha কোটার পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ - dainik shiksha শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054359436035156