আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দায়ের হওয়া ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বা ‘গায়েবি’ মামলার তালিকা পাঠানোর জন্য দেশের সব পাবলিক প্রসিকিউটরকে চিঠি দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সলিসিটর কার্যালয়ের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন (জিপি-পিপি) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের বলা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ইমেইলে সলিসিটর বরাবর ওই মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ মামলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
“মামলার তালিকা পাঠানোর ক্ষেত্রে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে আইন কর্মকর্তাদের। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা আইন মন্ত্রণালয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করবে।”
চিঠিতে বলা হয়, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের, বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়। যা অনেক ক্ষেত্রে ‘গায়েবি মামলা’ নামে পরিচিত।
এসব মামলা সংক্রান্তে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় আইনানুগভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই নির্ধারিত ছকে এসব মামলার তথ্য জরুরি।
মামলার তালিকা তৈরিতে বিশেষভাবে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়াসহ সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে চিঠিতে বলা হয়েছে। মামলার তালিকা পাওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করবে মন্ত্রণালয়।
সরকারি কৌঁসুলিদের কাছে সোমবার পাঠানো চিঠিতে সলিসিটর অনুবিভাগ বলেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত- বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে ‘রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে’ হয়রানিমূলক মামলা (অনেক ক্ষেত্রে গায়েবি মামলা) দায়ের হয়।
এসব মামলার তথ্য পাঠাতে জেলার নাম, আদালতের নাম, মামলার নম্বর, এজহারকারীর নাম ও পরিচয়, মোট আসামির সংখ্যা ও অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা, এজহারে বর্ণিত ঘটনার তারিখ, মামলাটি কোন আইনের কোন ধারায় দায়ের করা হয়েছে এবং তা তদন্তাধীন বা বিচারাধীন আছে কি না এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।