১৫ বছরের বেশি সময় দেশের ক্ষমতায় ছিলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।
তথ্য বলছে, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা যখন দেশ ছেড়েছেন তখন বাংলাদেশের সরকারি ঋণ ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা।
এই সময়ে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও বেড়েছে অস্বাভাবিক আকারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিদেশী উৎস থেকে সরকারের মোট ঋণ ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ২০ কোটি টাকা। তবে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ শেষে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৭৯ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হারে) ৯ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এই সময়ে বিপুল অর্থ পাচার হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য বলছে, শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে দেশ থেকে অন্তত ১৪ হাজার ৯২০ কোটি বা ১৪৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও কম।