আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ দেয়া হবে। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার তৃতীয় লিঙ্গ পাখি দত্তকে এ সম্মাননা দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানে নারীরা আজ সফল হচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যে কারণে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
জয়িতাদের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ময়মনসিংহের আনার কলি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী, ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেন। বর্তমানে তিনি সোনাদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া সিলেটের কমলী রবিদাশ একজন সফল জননী। মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এক ছেলেকে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
সিমিন হোসেন রিমি জানান, বরগুনার জাহানারা বেগমের ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী তাকে এসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী জয়িতা হিসেবে প্রমাণ করেন। এছাড়া খুলনার পাখি দত্ত নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন।