দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : ভারতে আয়োজিত সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ প্রতিযোগিতাটির মৌখিক অ্যাডভোকেসি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ মার্চ দুটি সর্বোচ্চ নম্বরধারী দলকে নিয়ে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের পর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের নাম ঘোষণা করা হয়।
হায়দ্রাবাদের সিমবায়োসিস ল’ স্কুল এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। তারা ‘সেরা মেমোরিয়াল’ পুরস্কারও অর্জন করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুট কোর্ট দল রানার আপ দল হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিযোগীরা হলেন- রেজওয়ান আহমেদ রিফাত, শর্মিষ্ঠা বনিক ও রেজোয়ান আশরাফ। শর্মিষ্ঠা বনিক ও রেজোয়ান আশরাফ ওরালিস্ট হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং রিফাত একই দলের রিসার্চার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শর্মিষ্ঠা ও রেজোয়ান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন।
প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের বিচারক ছিলেন কে জি বলকৃষ্ণ যিনি ভারতের একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। অন্য বিচারকরা হলেন- সোনিয়া মাথুর, ই এম সুদর্শন নাতচিয়াপ্পা, সুখমৃন্দর পি সিংহ আহলুওয়ালিয়া এবং মিরা কর পাটেল। তারা সবাই ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সম্মানিত জ্যেষ্ঠ বিচারক।
জানা যায়, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় দলগুলো একটি কল্পিত মামলার ওপর প্রথমে লিখিত মেমোরিয়াল জমা দেয় এবং পরে ওরাল রাউন্ডে অ্যাডভোকেটদের মতো কোর্টরুমে তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা এক ধরনের কোর্ট অভিজ্ঞতা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। প্রবীণ গান্ধী ল’ কলেজ (পি জে সি এল) মুট কোর্ট সোসাইটি এই বছর চতুর্থবারের মতো আয়োজন করে পি জে সি এল সার্ক আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা।
এতে মোট ১৮ টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দল ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে। এ দলগুলো সার্ক অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল’ কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, এ বছর আয়োজনটির বিষয়বস্তু ছিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সংকট। এর রাউন্ডগুলো মোট চার ভাগে বিভক্ত যেমন : প্রিলিমিনারি, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল।
এতে ভারতের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড লিগাল স্টাডিজের শিক্ষার্থী শ্রী হামসিনী বালা মুরুগান সেরা নারী অ্যাডভোকেট হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন, পাকিস্তানের কুয়াইদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাদি রাজা বেলুচ পুরুষদের মধ্যে সেরা অ্যাডভোকেট হিসেবে বিবেচিত হন এবং শ্রীলংকার এ পি আই আই টি ল’ স্কুল এ প্রতিযোগিতায় স্পিরিট অব দ্য কম্পিটিশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।