শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা।
১৮ আগস্ট রাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য এই পদত্যাগ পত্র ই-মেইলে জমা দিয়েছেন।
রাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ হাবিবা শিক্ষার্থীদের পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইন অনুযায়ী উপাচার্য পদত্যাগের পর রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালন করার কথা হলেও গত ১১ আগস্ট উপাচার্য রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়,শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলবে সে বিষয়ে শিক্ষক নেতাদের প্রশ্ন করলে তাঁরা জানান,"ডিপার্টমেন্ট চালায় ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যানরা। পরিস্থিতি যেমন হোক একাডেমিক কার্যক্রম যথাযথভাবে চালিয়ে নিবো আমরা।"
এর আগে রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশ টার সময় রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে একটি জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শেষে শিক্ষকরা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে রাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতারের পদত্যাগের দাবি করে এবং ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।
এদিকে চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে জানায়,রাবিপ্রবির সকল শিক্ষার্থী দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিপক্ষে। তারা বৈষম্য ও দুর্নীতিতে যুক্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের সকলের পদত্যাগের দাবি করে। পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম শাটডাউন ঘোষণা করে দপ্তরগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট (রবিবার) প্রথমে উপ-উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা পদত্যাগ করেন। পরে রাত ১০ টার দিকে রাবিপ্রবি উপাচার্যের অস্থায়ী বাসভবনে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
উল্লেখ্য, এর আগে রাবিপ্রবির সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডি এবং কয়েকজন হল প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন।