বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১৮২ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিএসএমএমইউয়ের আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এসব রোগীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী কীভাবে আহত রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সেলের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ শাকুর।
তিনি জানান, বিএসএমএমইউর বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮২ জন আহত রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে জরুরি বিভাগে ৫৮ জন রোগী, কেবিনে ৩৩ জন রোগী, বহির্বিভাগে ৫৭ জন রোগী, অভ্যন্তরীণ বিভাগে ২৪ জন রোগী, আইসিইউতে ১০ জন রোগী ছিলেন। এছাড়া চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে আঘাতের ধরন অনুযায়ী গুলিবিদ্ধ ৬৯ জন, শারীরিক আঘাত ৮ জন, ভোঁতা আঘাত ৮ জন, পড়ে যাওয়া ৩ জন, ধারালো কাটা আঘাত ৩ জন, রাসায়নিক আঘাত ৮ জন। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রোগীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
অনুষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল প্রোগ্রাম, বিশেষজ্ঞের মতামত এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও সেমিনারের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত দর্শক ও অতিথিরা পুনর্বাসন চিকিৎসার বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রশ্ন শেয়ার করেন। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে হুইলচেয়ার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আর্থিক অনুদান এবং অন্যান্য সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হবে, যা শারীরিক প্রতিবন্ধী রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে ছিলেন প্রফেসর ডা. তসলিম উদ্দিন।
এছাড়াও সেমিনারের মাধ্যমে শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এর আরও উন্নতির জন্য বিভিন্ন গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা হয়, যা রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করে।