পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না, সেটা তিনি বলতে পারেন না। তবে তাদের জিজ্ঞেস করেছেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোথাও তারা গণতন্ত্র আনতে পেরেছে কি না। তারা সেটা বলতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে, এমন শোনা যাচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মোমেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না, সেটা আমি বলতে পারি না। তবে তাদের জিজ্ঞেস করেছি, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোথাও গণতন্ত্র আনতে পেরেছে কি না। তারা সেটা বলতে পারেনি। আমি জিজ্ঞেস করেছি, তোমরা কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, হাঙ্গেরি প্রভৃতি দেশে গণতন্ত্রের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছ। কিন্তু কোথাও কি গণতন্ত্র এসেছে?
তিনি বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানেই যান, অনেক দেশের সরকার প্রধান তার সঙ্গে বৈঠক করতে চান। তারা আমাদের কাছে জিনিসপত্র বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে আসেন। যেমন ধরুন, আমরা এখন একটু বৈচিত্র্য আনতে চাই। আগে আমরা বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কিনতাম। এখন এয়ারবাস থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে এখন গন্ডগোল। বোয়িং এখন অর্ধেক দামে আমাদের উড়োজাহাজ দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এটা যিনি লিখেছেন, তিনি আহাম্মক ছাড়া কিছুই নন।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছি, চীনারা অনেক টাকা পয়সা নিয়ে আসে, কোনো হুমকি ধমকি না দিয়ে। তোমরাও টাকা পয়সা নিয়ে আসো।
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন।