চট্টগ্রামে পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সারা দেশের মানুষকে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই কক্সবাজারে মহেশখালীতে প্রায় একই রকমের আরেকটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের পর সেখানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে সাত বছরের এক শিশু।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকার একটি লবণমাঠ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম মাহিয়া মাহি। সে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাইরার ডেইল এলাকার আয়াত উল্লাহর মেয়ে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাহিয়া দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৩০ নভেম্বর নিখোঁজ হয় সে। পরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। লবণপানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে মরদেহটি অনেকটাই পচে বিকৃত হয়ে গেছে। পরনের কাপড়ের সূত্র ধরে লাশটি শনাক্ত করেন তার বাবা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় মাহিয়া। ওই দিন সন্ধ্যায় তার বাবাকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানান মাহিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ফিরে পেতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মাহিয়ার বাবা। বিষয়টি তদন্তের পর এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে পুলিশ। মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে আটক করা হয় এক নারীসহ তিনজনকে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।