ফুটবল মাঠে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। গোললাইন প্রযুক্তি, অফসাইড প্রযুক্তির পর ভিএরআর এসেছে। কাতার বিশ্বকাপে ভিএআর-এর উপরের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। তা হলো- সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি। কিন্তু তাতে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক থামেনি।
আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে একটি লাল কার্ড ও ১৭টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারিং দায়িত্বে থাকা লাহোজ। তার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচের দুই পক্ষই অভিযোগ করেছেন। স্প্যানিশ এই রেফারিকে ফিফা কর্তৃপক্ষ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। ওদিকে পর্তুগাল ও মরক্কোর ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন এক আর্জেন্টাইন। তার বিরুদ্ধে পর্তুগালের পেপে, ব্রুনো ফার্নান্দেজ কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন উইলটন সাম্পাও। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিছটা কম। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন তিনি। যার একটি থেকে গোল করতে পারেনি ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইন গোল করতে পারলে এবং শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স ম্যাচ হারলে নিশ্চিতভাবেই ধুঁয়ে দেওয়া হতো উইলটনকে।
যদিও ম্যাচ শেষে ফ্রান্স মিডফিল্ডার আন্দ্রে র্যাবিওট বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে সঠিক বিচার হয়েছে। অনৈতিক পেনাল্টি পাওয়ায় মিস করেছে তারা।’ কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। ওই ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে থাকবেন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের ম্যাচ পরিচালনা করা দানিয়েল অরসাতো।
তিনি ইতালিয়ান রেফারি। বলা চলে যে, আর্জেন্টিনা কিংবা ক্রোয়েশিয়ার ভাগ্যই ইতালিয়ানদের হাতে। ম্যাচে ভিএআর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন দুই ইতালিয়ান ম্যাক্সিমিলিয়ানো ইরাত্তি এবং পাউলো ভেলারি। দুই লাইন্সম্যানও ইতালির। তারা হলেন চিরো কার্বন এবং আলেক্সজান্দ্রো গ্যালাত্তিনি।
অরসাতো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের রেফারি ছিলেন। স্বাগতিক কাতার ও ল্যাতিন দল ইকুয়েডরের ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তবে শেষ ষোলো বা কোয়ার্টার ফাইনালে আর কোন ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এবার তিনি সেমিফাইনালে ফিরছেন।