বিখ্যাত রুশ কবি ও সাহিত্যিক আলেকজন্ডার পুশকিন এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার পুরো নাম আলেকজান্ডার সের্গেইয়েভিচ পুশকিন। তিনি ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুন মস্কোর এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মস্কোতে জন্মগ্রহণকারী পুশকিন ধাত্রী ও ফরাসি শিক্ষকগণের নিকট শিক্ষা লাভ করেন এবং দশ বছর বয়স অবধি মূলত ফরাসি ভাষায় কথা বলতেন। তিনি গৃহভৃত্যগণ এবং তার আয়া, আরিনা রদিওনোভনা, যার প্রতি তিনি তার নিজের মায়ের চেয়ে বেশি অনুরক্ত ছিলেন, তাদের মাধ্যমে রুশ ভাষার সাথে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে সারস্কোয়ে সেলোতে, মর্যাদাপূর্ণ ইম্পেরিয়াল লাইসিয়ামের প্রথম স্নাতক শ্রেণির অংশ হিসেবে যখন তিনি পড়া শেষ করেন, ইতোমধ্যে তার প্রতিভা রুশ সাহিত্য জগৎ অবগত হয়ে যায়। বিদ্যালয় শেষে পুশকিন, রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রাণবন্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল বুদ্ধিজীবী তরুণদের সংস্কৃতিতে ডুব দেন।
১৮২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তার প্রথম দীর্ঘ কবিতা, রুসলান এবং লুডমিলা প্রকাশ করেন, যার বিষয় ও শৈলী নিয়ে বহু বিতর্ক হয়। তিনি ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন এবং সারস্কোয়ে সেলো লাইসিয়াম থেকে স্নাতকত্ব লাভ করার সময় অবধি সাহিত্য মহলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। লাইসি থেকে স্নাতকত্ব লাভের পর পুশকিন তার বিতর্কিত কবিতা ‘ওড টু লিবার্টি’ আবৃত্তি করেন, যা রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার কর্তৃক তার নির্বাসন দানের অন্যতম কারণ। জারের রাজনৈতিক পুলিশ বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে, লেখা প্রকাশ করতে অক্ষম থাকা অবস্থাতেই পুশকিন তার সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক বোরিস গোদুনোভ লিখেছিলেন। তার কাব্যিক উপন্যাস, ইউজিন ওনেজিন, ১৮২৫ থেকে ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দেরর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে লিখিত হয়।
১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে পুশকিন মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষ বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর।