দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা, পেনশনে জুনিয়র-সিনিয়র বিশাল বৈষম্যসহ শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের ১৫ বছরের স্থলে ১০ বছর পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য স্মারকলিপির মাধ্যমে তিন দফা সুপারিশমালা পেশ করেছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল কাশেম ফজলুল হক, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বাসার, সিনিয়র সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা, সুবল চন্দ্র পাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি বিমান বাইন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নবীনদের তুলনায় প্রবীণরা বার্ধক্যজনিত কারণে রোগে-শোকে জর্জরিত। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। বিশেষ করে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ঔষুধসহ চিকিৎসার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় সিনিয়র পেনশনভোগীদের চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে যৌক্তিকতা বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশাবাদী। ৬৫ বছরের নিচে পাঁচ হাজার টাকা, ৬৫ থেকে ৭০ বছরে সাড়ে সাত হাজার টাকা আর ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে দশ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদান করার নিবেদন করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, বঙ্গবন্ধু আজীবন বৈষম্য নিরসনে সংগ্রাম করেছেন। বৈষম্য নিরসনের ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাঁরই আদর্শে অবিচল থেকে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের বেতন স্কেলে সরকারি কর্মচারী বেতন দ্বিগুণ হওয়ায় সিনিয়র পেনশনভোগীর সাথে জুনিয়র পেনশনভোগীদের সাথে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে অবশ্যই সরকার বৈষম্য দূর করবেন বলে নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন।