কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাসের বিদায় বেলা ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ইসমাইল হোসেন (৬৩) নামের এক দিনমজুর। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলেন। গতকাল সোমবার এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভেসে বেড়াচ্ছে।
ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে কান্না করা বৃদ্ধ ইসমাইল হোসেনের বাড়ি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের খামার টারী চন্দ্রখানা গ্রামে। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। দীর্ঘ ২ বছর ৩ মাস উপজেলায় সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কুড়িগ্রাম জেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা হন।
এছাড়াও উপজেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষের পাশে দাঁড়াতেন তিনি। গতকাল সোমবার ছিলো উপজেলায় এই কর্মকর্তার শেষ কর্মদিবস। তাহার পরবর্তী কর্মস্থল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এছাড়াও তার বিদায়ে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন অফিস,সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাড়াও সব শ্রেণীপেশার মানুষ বিদায় জানান।
বৃদ্ধ দিনমজুর ইসমাইল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্যার খুব ভালো মানুষ। স্যার সরকারি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আমাকে দিয়েছে। অনেক সাহায্যও করেছে আমার পরিবারকে। আমি যখন তখন স্যারের রুমে যেতাম। স্যার এখান থেকে চলে যাবে শুনে এসেছিলাম। স্যারকে দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমি স্যারকে আমার বুকে জড়িয়ে ধরেছি কেঁদেছি, স্যারও আমাকে ধরেছে। আল্লাহ পাক যেনো তাকে সবসময় ভালো রাখে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি এই উপজেলায় দায়িত্ব পাওয়ার পর সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করেছি। এই উপজেলার জন্য সবসময় শুভকামনা থাকবে। যাতে এ উপজেলা আরো এগিয়ে যায়। ফুলবাড়ীর মানুষ যেন আরো বেশি বেশি সরকারি সেবা পায় এই প্রত্যাশা রাখছি।