সারা দেশে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মো. রাহাত আল রাফি। কিন্তু বিদ্যালয়ে গিয়ে সে জানতে পারে নিবন্ধনের টাকা জমা না হওয়ায় তার প্রবেশপত্র পাঠানো হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়া পরামর্শ দেন। তবে ওই পরীক্ষার্থী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানায়। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মাত্র একদিন আগে প্রবেশপত্র পায় পরীক্ষার্থী রাফি।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়।
রাফি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরশেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের ছাত্র ও কোমরকান্দি গ্রামের মো. আলফাজ মালিথার ছেলে। সে ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাফির হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেন পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব ও আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে খুশি রাফি।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, রাফির নিবন্ধনের টাকা জমা না হওয়ায় প্রবেশপত্র আসেনি। বিষয়টি তারা খেয়াল করেনি।
তবে পরীক্ষার্থী বলছে, সে নিবন্ধনের জন্য টাকা জমা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী মো. রাহাত আলী রাফি জানায়, দুই হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে সে পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিল, কিন্তু শিক্ষকরা তাকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ দেননি। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র আনতে গেলে শিক্ষকরা তাকে জানান, তার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি। সেজন্য প্রবেশপত্র আসেনি। শিক্ষকরা তাকে আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন। শিক্ষকদের কথা শুনে সে হতাশ হয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার বিকেলে ইউএনওকে মোবাইল ফোনে সে বিষয়টি জানায়। শনিবার দুপুরে সে প্রবেশপত্র হাতে পায়।
এ বিষয়ে খোরশেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের সময় ঘটেছিল। তবে নিবন্ধনের টাকা জমা না হওয়ায় প্রবেশপত্র আসেনি।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর ভুলে হয়তো টাকা জমা হয়নি। সেসময় বিষয়টি খেয়াল করা হয়নি। তবে ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে ওই ছাত্র প্রবেশপত্র পেয়েছে।
ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, বিষয়টি জানার পর ডিসি স্যার ও এডিসি (শিক্ষা) স্যারের সহযোগিতায় সমস্যা সমাধান করা হয়। আজ তার হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেওয়া হয়।