জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে নওগাঁর পোরশায় বিকাশ বাণিফাস বারোয়া নামের এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আহত শিক্ষক উপজেলার দানিপুকুর সাধু পৌল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) ও উপজেলার মশাবই গ্রামের মহেন্দ্র বারোয়ারের ছেলে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষকের ছেলে শিবপুর কেজি স্কুলে লেখাপড়া করেন। দীর্ঘদিনের জমির বিরোধের জের ধরে গত ৩০ জুন দুপুরে তার সন্তানকে নিতে আসার সময় কুশারপাড়া মোড়ে হঠাৎ করে চাওড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মো. সেলিম, মো. হাপিনুর রহমান এবং ওই ইউপির ৪ ও ৬ ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর আমার স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়।
দানিপুকুর সাধু পৌল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিকাশ বাণিফাস বারোয়া দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, দীর্ঘদিনের জমির বিরোধের জের ধরে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মেম্বর হাবিবুর রহমান ও মেম্বর আব্দুস সেলিমসহ অন্যরা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান, এভাবে হাবিবুর মেম্বর সেলিম মেম্বর আমাকে পেটান। তারপর আমার স্বজনরা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সেখানে আমি চিকিৎসা নিই এবং আমার উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাজশাহী যাচ্ছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ছাওড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করায় তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছি।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।