স্কুল- কলেজ ও মাদরাসার এমপিও শিক্ষকদের আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন দেয়া কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন শিগগিরই জমা দেয়া হবে। নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেয়া হবে- শনিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা যায়, এই কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন এমপিও শিক্ষকদের ডাটাবেইস তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্রুতই ডাটাবেসইন তৈরির কাজ শুরু করা হবে এবং যাদের নাম ডাটাবেইসে আছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নাম ও জন্ম তারিখ যাচাই করা হবে।
এ ছাড়াও দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে বলে এই কার্যক্রম পেছাবে, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেক আগেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলো। এখন বরং দ্রুতই এই কাজটি এগিয়ে যাবে।
এদিকে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের প্রতিনিধি যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ হোসেন জানান, শিক্ষকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে নাম এবং জন্ম তারিখ মিল থাকতে হবে। মিল না থাকলে বেতন দেয়া সম্ভব হবে না।
এ ক্ষেত্রে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেরে এমপিও সিস্টেমে সংরক্ষিত সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্যের সঙ্গে এনআইডির তথ্য সংযুক্ত করে ডাটাবেস তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। অর্থ বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (আইবাস ডাবল প্লাস) সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) স্থাপন করতে হবে।
এসব কার্যক্রম শেষে অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের নয় অঞ্চলের নয়টি উপজেলা ও থানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন ইএফটিতে দেয়া হবে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরে সারা দেশেই এই পদ্ধতিতে এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে ইএফটি ছাড়া কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেয়া হবেনা বলেও সিদ্ধান্ত রয়েছে।
অবসর সুবিধার টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইবাস ডাবল প্লাস সিস্টেমের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) সংযোগ করতে হবে।
এ ছাড়াও চলতি মাসের মধ্যেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের নামে আলাদা প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাব ব্যক্তিগত হিসাব খুলতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে যাদের এডভাইস ইতোমধ্যে ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে তাদের এই পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হবে। ইএফটি চালুর আগে নতুনভাবে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস পাঠানো যাবেনা।