গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় দিনেও ৭২ জোড়া বর-কনের যৌতুক বিহীন বিয়ে হয়েছে। গত শনিবার বাদ আসর যৌতুক বিহীন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতের তাবলীগ মুরুব্বী মাওলানা জুবায়েরুল হাসান এই বিয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় বর-কনের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকালে থেকে টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীর। আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
আজ ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। বিয়ের একজন বর আলেক হাসান। যৌতুকবিহীন বিয়ের জন্য ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে অভিভাবক বাবা ও স্বজনদের নিয়ে সেখানে বিয়ে করেন। তিনি জানান, ইজতেমায় বিয়ে করাটা একটা ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে অনেক আল্লাহর অলি আসেন। সুন্নতি তরিকায় এখানে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সবার দোয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দাম্পত্য জীবন সুখের হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের ঘরে নেক সন্তান আসবে—এমনটাই প্রত্যাশা তার।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান এই বিয়ে পড়ান। অপরদিকে, বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করা। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন দম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
বিশ্ব ইজতেমার আজ দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয় আম বয়ানের মধ্য দিয়ে৷ ফজরের নামাজের পরে হিন্দিতে আম বয়ান করেন তাবলীগ জামাত, ভারতের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা আব্দুর রহমান৷ আর বাংলায় তরজমা করে দিচ্ছেন মাওলানা আব্দুল মতিন৷