টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার চারদিন পর শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নেন জোবায়ের পন্থীরা। এবার বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন সা’দ পন্থী মুসল্লীরা।
শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। ইজতেমা ময়দানে অবস্থনরত বিদেশি মুসল্লীদের জন্য মূল বয়ানটি আবার তাদের নিজ নিজ ভাষায়ও তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে তাবলীগ মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লীরা দলে দলে মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। লাখ লাখ মুসল্লীর উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। বাস, ট্রাক, ট্রেন পায়ে হেঁটে মুসল্লীরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন। টঙ্গীতে যেন ঢল নেমেছে। মুসল্লীদের এ স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লীদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে পাঁচ সহস্রাধিক বিদেশি মুসল্লী ময়দানের বিদেশি তাবুতে অবস্থান নিয়েছেন। উপস্থিত এসব মুসল্লীদের জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই প্রাথমিক আম বয়ান শুরু হলেও ইজতেমার মূল আ’ম বয়ান শুরু হয়েছে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে।
তিনি আরও বলেন, খাবার ও গোসলের বিরতি দিয়ে রোববার আখেরি মোনাজের আগ পর্যন্ত চলবে ঈমান-আমলসহ তাবলীগের ৬ উসুলের বয়ান। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেমরা মূল বয়ান করছেন। মূল বয়ান বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের জন্য তাৎক্ষণিক তরজমা করা হচ্ছে। ময়দানে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ পেশাজীবীদের জন্যও আলাদা আলাদা বয়ান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়তি বয়ান শেষে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।
মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বরগুনার এক মুসল্লী বার্ধক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মারা গেছেন। নিহত মফিজুল ইসলামের (৭৫) বাবার নাম হলো আব্দুল আলীম রানা।