বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে টঙ্গীর ময়দানে লাখ মুসুল্লীর অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ। শুক্রবার দুপুরে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে জুমার নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম ক্কারী মোহাম্মদ জুবায়ের। দুপুর ১টার দিকে হয় জুমার আজান, ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জুমার খুতবা। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় জুমার নামাজ, শেষ হয় দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে।
এদিন ভোর থেকেই ঢাকার উত্তরা, আশুলিয়া, সাভার, ও গাজীপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার আগেই ইজতেমা মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের খোলা জায়গা, অলিগলিসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মাঠে স্থান না পেয়ে মুসুল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন জায়নামাজ, পুরনো পত্রিকা, হোগলা পাটি, চটের বস্তা বিছিয়ে জামাতে শরিক হন। এক পর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দেখা দেয় তীব্র যানজট। জুম্মার নামাজ শেষ হলে মহাসড়ক ও অলিগলির সকল মুসল্লী বাড়ি ফেরা শুরু করলে দেখা দেয় জনজট ও যানজট। প্রায় দেড় ঘন্টা এ অবস্থা চলতে থাকে।
শুক্রবার বাদ ফজর তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানের মুরব্বি মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বাংলাদেশ ও ভারতের তাবলিগ মারকাজের শূরা সদস্য, বুজুর্গরা ঈমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত সম্পর্কে ফজিলতপূর্ণ বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়। আয়োজকরা জানান, বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানোসহ নতুন জামাত তৈরি হবে।