ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন ছাত্রীকে নির্যাতন ও র্যাগিংয়ের ঘটনা ও অভিযুক্তদের পাল্টা অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হককে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উভয়ের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হল থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাহান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা আক্তার। তারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক। এছাড়া হলের শাখা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকও কমিটিতে আছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং সমর্থন করে না৷ আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ওই হলে কী হয়েছে সে বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
শনিবার ও রোববার দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুদফায় নবীন এক ছাত্রীকে তিন-চার ঘণ্টা করে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা মারধরের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি-ধামকি এবং ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। এতে ভয় পেয়ে সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন মেয়েটি।
পরিবারের পরামর্শে মঙ্গলবার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরি অন্তরা ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ তাদের সঙ্গীরা।