ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীদের ‘পর্ন তারকা সাজিয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ’ শিক্ষামন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। মন্ত্রণালয় র্যাগিংয়ের ঘটনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়ে গত ২০ নভেম্বর উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইবিতে ছাত্রদের র্যাগিং করা ও ৫ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল ও ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে মধ্যরাতে নবীনদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৫ জন হলের শিক্ষার্থীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পরেরদিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর ৯ জনকেই অভিযুক্ত করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগীদের একজন। পরে থানায় আটক থাকা ৫ শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরদিন ২০ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। একইদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর র্যাগিংয়ের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভূক্তভোগীরা।
এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর হলের প্রভোস্টকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী একটি মেসে ও হলে তাদের ১৭ দিন ধরে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানিমূলক নির্যাতন করা হয়েছে।F
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে তা আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দুয়েক দিনের মধ্যে প্রদিবেদন দাখিল করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, হল থেকে প্রতিবেদন আমার কাছে দিয়েছে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যতদ্রুত সম্ভব পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহীনুল ইসলাম বলেন, এখনো প্রতিবেদন হাতে পাইনি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি।