ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও ৩ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভার পরে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরীন বলেন, দুইটি ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমারা পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছি। আর জড়িত তিনজন যেহেতু সমর্থন জানিয়েছে তাই তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর অধ্যায়-২ এর ২ এবং ৪ ধারা অনুযায়ী এই বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিক কাব্য, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভ। এছাড়া এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শাহরিয়ার পুলক, সাদমান আকিব ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিব। গত ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরে জড়িত থাকায় কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এদিকে গত সেপ্টেম্বরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে একই বিভাগের ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, নবীন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও জিমনেসিয়ামের বিভিন্ন স্থানে র্যাগিং করে ৫ অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। পরে ভুক্তভোগী বিচার দাবি করে ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে এর পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে গত ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান আজিজ, আতিক আরমান ও বহিষ্কৃত কাব্যের বিরুদ্ধে। এতে প্রধান চিকিৎসকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত কাব্যকে আজ স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।