দৈনিক শিক্ষাডটকম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেজিস্ট্রার এমন অপকর্মে জড়ালে তার শাস্তি নিশ্চত করতে হবে। আর উপাচার্য বলেছেন, এর সঙ্গে রেজিস্ট্রার জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার এটিকে ‘এআই ইডিট’ বলে দাবি করেছেন।
![](https://dainikshiksha.com/public/uploads/2023/03/Ali%20Hasan.jpg)
শনিবার ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেসবুক আইডিতে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়। শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রেজিস্ট্রারের।
দেখা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডটি ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের। সেখানে ইবি রেজিস্ট্রার আলী হাসান ও বিপরীত পাশের মেয়েটিকে বিভিন্ন আপত্তিকর, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। বিপরীত পাশে মেয়েটিকে শণাক্ত করা যায়নি।
আরো পড়ুন: কী আছে সেই ভিডিওতে?
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমি ভিডিওটা দেখেছি। এগুলো এআই দিয়ে ইডিট করা ভিডিও। আমাকে হেনস্তা করতে কেউ এটি করেছেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, আমি বিষয়টি কয়েকজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি এখনও ভিডিওটি দেখিনি। এজন্য মন্তব্য করছি না।
আরো পড়ুন: ইবি রেজিস্ট্রারের গোপন লেনদেনের অডিও
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। যদি এটার সঙ্গে তিনি (রেজিস্ট্রার) জড়িত থাকেন তাহলে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার ইবি রেজিস্ট্রারের কন্ঠ সদৃশ অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত' আলাপন ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। অডিওতে রেজিস্ট্রারকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন একটা চেক নিয়ে যান। দেওয়ার কথা ছিল ৬ লাখ এখন ৪ লাখ দেন। এক কাজ করেন ৫ লাখ দেন। আমার কথাও থাক আপনার কথাও থাক।