ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও এক মেয়র নিহত হয়েছেন। নিহত ওই মেয়রের নাম ইয়াদ আল-মাগারি। তিনি গাজার নুসেইরাতের মেয়র ছিলেন। এছাড়া এই হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরাইলের লাগামহীন হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় ইসরাইলি অভিযানে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে নুসেইরাতের জনপ্রিয় মেয়র ইয়াদ আল-মাগারিও রয়েছেন। পৌরসভা দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে তারা প্রাণ হারান।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের চেয়ারম্যান রামি আবদুল নিহত আল-মাগারিকে ‘গাজা উপত্যকার সবচেয়ে সক্রিয় মেয়রদের একজন’ বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়া গাজার মিডিয়া অফিস নুসেইরাতের মেয়রকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আহমেদ আল-মাগারির হত্যাকাণ্ডকে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-মাগারি ‘নিজের দায়িত্ব ও কাজের প্রতি অনুগত ও নিবেদিত’ ছিলেন এবং যুদ্ধের শুরু থেকে পুরোটা সময়জুড়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের লোকদের সহায়তায় নিযুক্ত ছিলেন।
এর আগে ইসরাইলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা এবং মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি হামলায় নিহত মেয়ররা ছিলেন পরিশ্রমী ও বিরতিহীন সেবার বিশ্বস্ত উদাহরণ।’
এদিকে মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় চারজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
অন্যদিকে গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৬৫৪ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৩ হাজার ৩০৯ জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় আরও ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।