লেবাননভিত্তিক ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নাইম কাসেমি বলেছেন, ইসরায়েল চাইলে যুদ্ধবিরতিতে জেতে রাজি আছে হিজবুল্লাহ। তবে এ জন্য ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
হিজবুল্লাহ প্রধানের বক্তব্য তখনই সামনে এলো, যখন মিশর ২ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা ও লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি লেবাননের বালবেক শহরেও হিজবুল্লাহর ঘাঁটির ওপর হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেমির বিবৃতির বরাত দিয়ে লুক্সেমার্গের সংবাদমাধ্যম আরটিএল-ইউএল এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, বুধবার হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা দেয়, তাহলে শর্তসাপেক্ষে আমরা তা মেনে নেবো। শর্তটি হচ্ছে, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরায়েলের সিকিউরিটি কাউন্সিলে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপরেও ইসরায়েল বালবেকে হামলা চালিয়ে বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর আরেক কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
নাজিব মিকাতি লেবাননের টেলিভিশন আল-জাদিদকে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি আমোস হোস্টেইন জানিয়েছেন, ৫ নভেম্বরের আগেই (৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) আমরা হয়ত একটি যুদ্ধবিরতিতে যেতে পারবো।
সেপ্টেম্বর মাসে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে ইসরায়েল হত্যা করার পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নাইম কাসেমি হিজবুল্লাহর প্রধান নির্বাচিত হন।
তিনি তার প্রথম ভাষণে বলেন, ইসরায়েল এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেবাননে যে স্থল ও আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে, হিজবুল্লাহ তা প্রতিরোধ করে যাবে।
তবে তিনি এটাও বলেন যে, যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার দরজা খোলা। ইসরায়েলকে এ জন্য আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন বলেছেন, দেশের সিকিউরিটি কাউন্সিলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, এর জন্য সময় দরকার।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার দিনগত রাতে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে ৬০ দিনের (২ মাস) যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এই আলোচনায় বলা হয়, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে (২০ মাইল) লিটানি নদীর উত্তর থেকে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং সেইসঙ্গে সীমান্ত বরাবর লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।