শিশু বলাৎকার, কেনাকাটায় অনিয়ম, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ওরফে আহসান সাইয়েদের বিরুদ্ধে। জিয়া পরিষদের সদস্য শিক্ষা ক্যাডারের একজন অধ্যাপকের সন্তানসহ কয়েকডজন অযোগ্য ও জামাতপন্থী লোক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভিসির বিরুদ্ধে।
এছাড়া অবসর সুবিধাবোর্ডে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া শিবিরপন্থী সহকারি পরিচালক আবু হানিফাকে উপরেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। আইটি উপদেষ্টা নামে একজনকে নিয়োগ দিয়ে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা বেতন-ভাতা দেয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনার জন্য নিজের লোককে দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাজধানীর বছিলার মো: আমজাদ আলী সরকার। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। অভিযোগের কপি দৈনিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহকে।
গত বছর ৫ নভেম্বর দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, উপাচার্য তার এলাকার বাসিন্দাদের দ্বারা নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধও হয়েছিলেন। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হয়। এ সময় শিশু বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকারও করেন উপাচার্য। নিজ বাসভবন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ছাড়ার শর্তে এলাকাবাসীর হাত থেকে মুক্তি পান তিনি। ভিসির বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু নিপীড়নের অভিযোগ ছিল বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কালের কন্ঠ পত্রিকার খবরে আরো বলা হয়, এক শিশুকে ফুঁসলিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে যান উপাচার্য। সেখানে বলাৎকারের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ সময় কয়েকজন গিয়ে ভিসিকে ঘেরাও করে ফেলে। পরে খবর পেলে গোটা বাসভবনই ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। রাত ২টার দিকে চান্দগাঁও থানার একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে লোকজন অবরোধ তুলে নেয়। বাসা থেকে বের ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ শিশু বলাৎকারের কথা স্বীকার করেন। নুরুল আমিন নামের এক এলাকাবাসী জানান, তিনি কথা দিয়েছেন, এলাকায় আর আসবেন না। সে শর্তেই তাকে ছাড়া হয়েছে। পুলিশ তাকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
নিয়োগ ও পিএইচডি জালিয়াত আবু হানিফাই আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার!
আরবি ভাষা জানেন না মাদরাসার মহাপরিচালক ও চেয়ারম্যান!
প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। নতুন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রথম ভিসি হিসেবে মেয়াদ শেষ করে এখন দ্বিতীয় মেয়াদ