দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরিশাল: বরিশালে বেতন ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ জাতীয়করণের দাবিতে সড়কে কালো পতাকা মিছিল করেছেন শিক্ষকেরা। বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের বরিশাল বিভাগীয় সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বরিশাল সদরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এ বিক্ষোভ মিছিলটি করেন শিক্ষকেরা।
এ সময় তারা ‘খণ্ডিত উৎসব ভাতা মানি না, মানবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
শিক্ষকেরা বলেন, আজকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও আমরা সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের কাছে দাবি করে আসছিলাম পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা চাই। আমরা মনে করি উৎসব ভাতা কখনো খণ্ডিত হয় না। মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হয়। তাই আজকে ঈদের দিনে ঈদের নামাজ পড়ে আমাদের মুরব্বিদের সঙ্গে দেখা করে কালো পতাকা মিছিল করতে বাধ্য হয়েছি।
আমরা বাংলাদেশ শিক্ষক- কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃত্বে এই সরকারের কাছে দাবি করছি পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা আগামী ঈদুল আজহার আগে পাই।
এর আগে গতকাল বুধবার একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই কর্মসূচি হয়।
সমাবেশ শেষে শিক্ষক-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়।
সেসময় সংগঠনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন আহ্বায়ক রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ প্রণব কুমার বেপারী, অধ্যাপক গৌরাঙ্গ চন্দ্র কুণ্ড, অধ্যাপক জলিলুর রহমান ও জিয়া শাহিন প্রমুখ।
ওইদিন বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার শতকরা ৯৮ ভাগ পরিচালনা করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। মানবসম্পদ বিকাশে ভূমিকা রাখা এই ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ ভাগ উৎসব বোনাস, বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা এবং চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা করে পেয়ে আসছেন। এতে একজন শিক্ষকের ন্যূনতম জীবনমান নির্বাহ করা অসম্ভব।
মানব সম্পদ উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এ ধরনের বঞ্চনা মেনে নেয়া কষ্টকর। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর থেকেই আমরা শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাসসহ শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি।