ঢাকার ধামরাইয়ে তরুণীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজু আহমেদ (২০) নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখম ও হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার বিকালে বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা রাজুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি আবাসিক হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাজু দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শাসন গ্রামের মো. আব্দুল গফুর ওরফে আসক আলীর ছেলে। বর্তমানে রাজু ধামরাই সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে রাজুর বড় ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মাদক বিক্রেতা শামীম হোসেন ও শুকুর আলীসহ কয়েকজন বখাটে ঈদের দিন বিকেলে কুশুরা ইউনিয়নের শাসন গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছিল। তখন রাজুসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই বখাটেদের প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এর জের ধরে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজু শাসন এলাকায় রাস্তার পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় ওই মাদকবিক্রেতা শামীম হোসেন ও শুকুর আলী নেতৃত্বে ফারুক, জুয়েল, রাসেল, সেলিম, শাকিল, রায়হানসহ আরও ৫-৭ জন রাজুর ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজুর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রাজুর কান্নাকাটি ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হলে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাজুর বড় ভাই মো. বাবুল হোসেন বলেন, মাদকবিক্রেতা শামীম ও আলীসহ কয়েকজন বখাটে আমার গ্রামের মেয়েদের ঈদের দিন উত্ত্যক্ত করেছিল। এর প্রতিবাদ করার জের ধরে তারা সোমবার আমার ছোটভাই রাজুর ওপর হামলা করে। রাজুর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।