ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ও টিউশন ফি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা তথ্যে ভুল থাকায় তাদের উপবৃত্তির টাকা পাঠাতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। আবার ভুল তথ্যের কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফিও পাঠানো হয়নি। উপবৃত্তির টাকা পেতে এসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপবৃত্তির তথ্য সংশোধনের সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি থেকে এসব তথ্য জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করা হলেও অ্যাকাউন্ট খোলা না থাকা, অ্যাকাউন্ট সচল না থাকা, ভুল অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্দেশে বন্ধ থাকা অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার, প্রতরণামূলক কার্যকালাপে জড়িদ থাকা অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহান, ব্যবসায়িত অ্যাকাউন্ট (এজেন্ট-মার্চেন্ট) ব্যবহার, এনআইডি ও কেওয়াইসি সঠিক না থাকা, পিন সেট না থাকা এবং এজেন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এন্ট্রি করে শাখা হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নির্বাচন না করা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি পাওয়ার ক্ষেত্রে পে রোল করতে না পারা বা বাউন্সড্ ব্যাক হওয়ার কারণগুলো হলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিসাবধারীর নাম সঠিকভাবে সংশোধন ও হালনাগাদ না করা, হিসাবধারীরর নাম হিসেবে ব্যক্তিগত বা যৌথ নাম বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য নাম ব্যবহার করা, হিসাবধারীর নাম বাংলায় লেখা বা বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা, ব্যাংকের নাম ও শাখা নির্বাচনের ভুল করা ও ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করা।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি জানিয়েছে, এসব কারণ যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল ফরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এইচএসসি-এমআইএসে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধন ও হালনাগাদ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন যেভাবে :
এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে প্রবেশ মেনুবার অনুসরণ করে 'উপবৃত্তি প্রাপ্য শিক্ষার্থী' বাটনে ক্লিক করতে হবে৷ এরপর 'শিক্ষার্থীর তথ্য আপডেট' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার 'শিক্ষার্থীর অবস্থা' অপশনে ক্লিক করে ‘ভুল পেমেন্ট তথ্য’ সিলেক্ট করে ‘খুজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এবার শিক্ষার্থীর নামের তালিকায় ‘সম্পাদন করুন’ কলামের ‘কলম’ সদৃশ এডিট বাটনে ক্লিক করে শিক্ষার্থীর ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে। এবার ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। তথ্য সংরক্ষিত হলে সফল মেসেজ প্রদর্শিত হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ যেভাবে :
এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে প্রবেশ মেনুবার অনুসরণ করে ‘কনফিগারেশন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার ‘প্রতিষ্ঠানের তথ্য’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ‘সম্পাদন করুন’ কলামের কলম সদৃশ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রোফাইল ফরমের তথ্যগুলো হালনাগাদ করতে হবে।
পেমেন্ট তথ্যে টিউশন ফি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে খোলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে হবে। অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং হিসাবধারীর নাম হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম অবশ্যই ইংরেজিতে হালনাগাদ করতে হবে। হিসাবধারীর নামের স্থানে ব্যাক্তির নাম বা যৌথনাম বা অন্য কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি পেতে ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া চিঠিতে তুলে ধরেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য চিঠিটি তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।